শুরুর কথা:
ভ্রমণ পিপাসু এই যাযাবর মন সবসময় তৈরিই থাকে যে কোন সময় বেরিয়ে পড়ার। ইচ্ছে হচ্ছিল কোথাও ঘুরতে যাবো। পরিকল্পনা হলো সেখানে দু’দিন থেকে সারাদিনে যতটা পারা যায় ঘুরে আসবো। আমাদের চারজনের মধ্যে কথা বলে ঠিক হলো এবারের পর্ব ‘খাগড়াছড়ি’।
বাংলাদেশের ভ্রমণপ্রিয় মানুষগুলোর কাছে বান্দরবান বা রাঙামাটি যতোটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে খাগড়াছড়ি ততোটা জনপ্রিয়তা পায়নি। কিন্তু মনোরম এই উপত্যকার দর্শনীয় স্থানের অপার সৌন্দর্য ভ্রমণপিপাসু দর্শককে মোহিত করবে নিশ্চিত।
যাওয়ার আগে খাগড়াছড়ি সম্পর্কে একটু খোঁজখবর নিয়ে নিলাম।
২,৬৯৯.৫৬ বর্গ কি.মি এর এই জেলায় উপজেলা ০৮টি (খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, মহালছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি ও রামগড়) থানা ০৯টি, পৌরসভা ৩টি (খাগড়াছড়ি, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা)। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা, দক্ষিণ-পশ্চিম-চট্টগ্রাম জেলা,
পশ্চিমে-ফেণী নদী ও ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যএর অবস্থা। মোট জনসংখ্যার আদিবাসী ৫২% এদের মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা বেশি।
দর্শনীয় স্থানের মধ্যে অন্যতম হলো আলুটিলা গুহা, রিসাং ঝর্ণা, দেবতা পুকুর, ভগবান টিলা,শতায়ু বর্ষী বটগাছ, পানছড়ি উপজেলার শান্তিপুর অরণ্য কুটির, বিডিআর স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি। আমরা মূলত আলুটিলা গুহায় ভ্রমণ আর রিসাং ঝর্ণার গান শুনে এসেছি।
১. আলুটিলা গুহা:
পাহাড়ের চূড়া থেকে ২৬৬ টি সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমেই গুহামুখ। আলুটিলা সুরঙ্গের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮২ ফুট।
২. রিসাং ঝর্ণা:
জেলা শহর থেকে ঝর্ণা স্থলের দুরত্ব সাকুল্যে ১১ কি: মি: প্রায়। নিজস্ব যানবাহন নিয়ে যাওয়া যাবে একেবারে ঝর্ণার পাদদেশে।
খরচ:
নিজেদের গাড়ি নিতে চাইলে খরচ অনেকটাই সাশ্রয় হয় আর আরামও হয়। অবশ্য নিজেদের গাড়ি না নিলে ঢাকা থেকে যাওয়ার জন্যে ফকিরের পুল , সায়দাবাদ , কলাবাগান থেকে অনেক নন এসি বাস আছে ।
ভ্রমণ প্রস্তুতি:
যাত্রার প্রস্তুতির মধ্যে শুরুতেই যার যার নিজেদের ব্যাগ গুছিয়ে নিলাম। এখানে বলে রাখা ভালো নিউমার্কেট থেকে কম দামে ভালো ব্যাগ পাওয়া যায় আর গ্যারান্টি সহকারে বিদেশী ব্যাগ কিনতে শাহবাগ আর গুলশানের সিটি কর্পোরেশন মার্কেটে পাওয়া যাবে।তবে ভ্রমণ যেহেতু অনেকদিনের নয় তাই আমরা এমন ব্যাগ নিলাম যা দুই কাঁধে ঝোলানো যায়।হোটেলে পরিস্কার তোয়ালে সরবরাহ করে। কাজেই সাথে তোয়ালে নিয়ে ব্যাগ ভারী করার কোন মানে হয়না। কিন্তু ব্যক্তিগত প্রয়োজনে পাতলা গামছা নিয়ে নিলাম। নিজেদের ব্রাশ, ছোট পেস্ট, স্যালাইন, পেইন কিলার, টর্চ লাইট, চার্জার, মোবাইলে ব্যাটারি ফুল চার্জ দিয়ে আর যথেষ্ট পরিমাণ ব্যালেন্স নিয়ে নিলাম। বলাতো যায়না কখন কী দরকার পড়ে যায়।সে সময়ে আমাদের সাথের এক মেয়ের পিরিয়ড চলছিল, সে কারণেই সে কিছুটা দোটানায় ছিল যাবে কি যাবে না। কিন্তু তাকে পুর্ণ আশ্বাস দিলাম যে আমিতো সাথেই আছি।আর সাথে টেবিল ন্যাপকিন আর ভালোমানের স্যানিটারি ন্যাপকিন নিয়ে সাথে কয়েকটা ছোট প্যাকেট নিয়ে নিলাম যেনো বাইরে চেঞ্জ করতে হলেও সেই ব্যবহৃত প্যাড কোথায় ফেলবে তা নিয়ে বিব্রত হতে না হয়।পরিবারের ছেলেদের তাই কৌশলে ছোটবেলা থেকেই এই ব্যাপারটা বোঝানো দরকার যে এটা একটা প্রাকৃতিক ব্যাপার যেনো তারা মেয়েদেরকে ঘরের বাইরে এমন সময়গুলোতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারে।
যাত্রা শুরু:
কথামতো এক বৃহস্পতিবার কাক ডাকা ভোরে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। খাগড়াছড়ির মতো পার্বত্য এলাকায় অনেকেই নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বেড়াতে যাওয়ার সাহস করেননা। কিন্তু আমাদের ঘোরাঘুরি যেনো নিজেদের গাড়িতেই জমে বেশি।
সকালে নাস্তার জন্যে যাত্রা বিরতি হলো কুমিল্লার কাকলী রেস্টুরেন্টের দারুণ ভুনা খিচুড়ি দিয়ে। তারপর আবার যাত্রা শুরু। পথে প্রয়োজনমতো গাড়ির খাবার (তেল, গ্যাস) নিয়ে নেওয়া হলো।
আমরা যখন সবেমাত্র চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করেছি ঠিক তখনই একটা অপরিচিত ফোন নম্বর থেকে কেউ একজন ফোন করে জানাল আমাদের ভ্রমণ সাথী বয়সের দিক থেকে তৃতীয়, তিনি একটা গল্প লেখা প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছেন। সেটা গ্রহণ করতে তাঁকে পরের দিন বেলা তিনটার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য ভবনের মিলনায়তনে হাজির থাকতে হবে। খবরটাতে আমরা সবাই খুশি হলেও পরের দিন সেখানে উপস্থিতির ব্যাপারে দ্বিধায় পড়ে গেলাম। কারণ আমাদের মূল ভ্রমণ তখনও শুরুই হয়নি। সিদ্ধান্ত রাতে হবে ঠিক করে খাগড়াছড়ি যখন পৌঁছলাম ততক্ষণে ক্ষুধায় বাঘের ধান খাওয়ার যোগাড়।
হাতেগোণা যে একটা দু’টো খাবার দোকান পাচ্ছি সেসবের খাবার মোটেই পছন্দ হচ্ছেনা। তারপর ভরসা করে এক খাবারের দোকানে ঢুকে বসে গেলাম। কমবয়সীদের তেমন উপযুক্ত নয় বটে। তবে টিন বয়স থেকে তার উপরের বয়সীরা বাছ-বিচারের অভ্যাস না থাকলে পেটপুড়েই খেতে পারবেন। ভ্রমণে ঝাল, ভারি খাবার এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। নইলে সাথে করে টয়লেট বহনের দায়িত্ব আমি নিতে পারবো না।
আলুটিলা যাওয়ার জন্যে শহর থেকে লোকাল বাস থাকলেও যেহেতু আমাদের সাথেই গাড়ি ছিল তাই আমরা সরাসরিই চলে গেছি।
গুহাতে নামার পথ ২৬৬ টি সিড়ি রয়েছে ভ্রমণের জন্যে সিড়িগুলো উপযুক্তই বটে। তবে প্রবেশ গেট পার হওয়ার সময় কমবয়সী বাচ্চাদের নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করে থাকে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা। গুহায় প্রবেশ ৫ টাকা করে। আর মশাল কিনতে ১০ টাকা লাগে। মশালের ভেতরের কেরোসিন দেখে কিছুটা নস্টালজিক হয়েছিলাম। ছোটবেলায় কখনো কখনো ইলেকট্রিসিটি চলে গেলে তখন কুপিবাতি আর হারিকেন ব্যবহারের প্রচলন ছিল আমাদের বাড়িতে।তাই নিয়মিত স্টকে কেরোসিন রাখা হতো।
গুহায় প্রবেশের পর স্রোতে আমাদের একজনের সেন্ডেল ভেসে যাচ্ছিল। তারটা সামাল দিতে গিয়ে অনভিজ্ঞ উদ্ধারকারীর সেন্ডেলও রওনা দিয়েছিল পানির স্রোতে। পেছনে আসা তিন যুবকের একজন ‘খপ’ করে সেন্ডেল ধরে এগিয়ে দিল আমাদের দিকে। কিছুদুর এগুনোর পর অন্ধকারে ভয় কামড় দেয়া শুরু করলো। তখন মশালের গুরুত্ব বুঝলাম। মনে হচ্ছিল অন্ধকারে অনন্তকাল ধরে এগুচ্ছি। এর কোন শেষ নেই। অবশেষে আলোর দেখা পেয়ে ভয় কমে আনন্দ ঝিলিক দিল মনে। ২৮২ ফুট দৈর্ঘ্যের গুহা ভ্রমণ শেষে মশালের আগুন শেষ হয়ে যায়। আর যিনি মশাল বিক্রী করেন তার সাথে থাকা এক পিচ্চি সেই মশাল সংগ্রহ করে মশালের অবশিষ্ট কেরোসিন সংগ্রহ করে রাখে পরবর্তী মশালে তা যোগান দেবার জন্যে। সেখান থেকে কিছু সিড়ি পেরুনোর পর সবুজের সৌন্দর্যে মাথা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়।
রিসাং ঝর্ণার উদেশ্যে যখন সেখানে গিয়ে পৌঁছালাম সেখানে যাত্রী বোঝাই চাঁদের গাড়ির বেশ রমরমা অবস্থা দেখলাম। ঝর্ণা পর্যন্ত যেতে প্রায় ২ কিমি এর বেশি হাঁটতে হবে। কিছুটা খাড়া হাঁটা পথ। আমাদের সাথের সর্বাপেক্ষা কমবয়সী জন আগেভাগে নেমে যাচ্ছে। আর আমরা রীতিমতো গলদঘর্ম হচ্ছি শরীরের ব্যালেন্স রাখতে। তবে যারা ফিরে আসছে তাদের অবস্থা ছিলো দেখার মতো। একজনতো বলছিলো সেদিনই নাকি তাঁর কয়েক কেজি ওজন কমে যাবে নিশ্চিত (!)। এর মধ্যে যিনি গল্পে পুরস্কারের জন্যে মনোনিত হয়েছেন তিনি কী মনে করে একটু দৌঁড়িয়ে নামার শখ করেছেন কি মরেছেন। কোনভাবেই নিজের ব্যালেন্স রাখতে না পেরে সেই ছোটজনের উপর গিয়ে হুড়মুড় করে পড়ে রীতিমতো হাঁটু ছিলে কেঁদেকেটে একাকার অবস্থা। অনেক সান্তনা দিয়ে বোঝাতে বোঝাতে হাঁটতে থাকলাম। দূর থেকে ঝর্ণার শব্দ পাচ্ছিলাম। ভেতরে কেমন যেনো অস্থির একটা অনুভূতি টের পাচ্ছিলাম।
সরকার থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে দেখে বেশ আসস্ত হলাম। এর পর বেশ কিছুদুর এগুনোর পর সিড়ি পেলাম। বাপরে সিড়িতো শেষ হয়না যেনো! উঠার সময় যে কপালে কী আছে তা ভাতেই ভয় হচ্ছিল!
কিন্তু ঝর্ণার গান শুনতে যেনো পাগলপারা হয়ে গিয়েছিলাম। এর আগে আর কোন ঝর্ণা এভাবে প্রলুব্ধ করতে পারেনি।
ঝর্ণার কাছে গিয়েতো মাথা নষ্ট অবস্থা! সেখানকার পানি তেমন গভীর না। কোনরকমে হাঁটু, কোমড় সমান পানি। কিন্তু সবচেয়ে মজার যেটা ছিল তা হচ্ছে ঝর্ণার পানি যেখানে সরাসরি পড়ছে সেখানে ঢালু পাথুরে জায়গা দেখলাম আর তাতে দর্শক পিছলে পড়তেই ব্যস্ত। বৌদ্ধ ভান্তেরাও সেলফি তোলা থেকে নিজেদের সামাল দিতে পারছিল না ঝর্ণার সেই সৌন্দর্যের কাছে। তবে সেখানে একটু সাবধানে পা ফেলতে হয়। আর কাপড় সামলে...নইলে নির্ঘাত ছেঁড়া কাপড়ে ফিরতে হবে।
অনেক কষ্টে সিড়ি পার হওয়ার পর আমাদের এক মেয়ের ব্লাডারে চাপ কমানো জরুরী হয়ে পড়লো। কিন্তু বেচারীর তখন পিরিয়ড চলছিল। প্রয়োজন আইন মানেনা বলে একটা কথা আছে। তাঁকে একটু ঝোপের আড়ালে ব্লাডার খালি করার সুযোগ করে দিলাম যেনো কাজ শেষ করে ব্যবহৃত ন্যাপকিন একটা প্যাকেটে মুড়ে ঝোপের আড়ালে ফেলে দিতে পারে।
ভয়ঙ্কর ঘটনাটা ঘটলো এর পরেই।
গাড়িতে উঠার পর একপর্যায়ে ঢালু রাস্তা বলেই হোক বা ভাঙ্গা ইট সরানো বলেই হোক গাড়ি আটকে গেলো। আটকে না বলে ঝুলে গেলো বলাই ভালো। এবার গাড়ি ব্যালেন্স করতে না পেরে সোজা খাদে পড়বে আরকি! এমন পরিস্থিতিতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে গাড়ি থেকে নামলাম গাড়ির বোঝা কমাতে। সবচেয়ে কমবয়সী পিচ্চি গাড়িতে কী মনে করে রয়ে গেলো। আমার এখনও মনে আছে আমি চিৎকার ওকে নামতে বলছিলাম যেনো যেকোন মুহুর্তে গাড়ি খাঁদে পড়বে। পাকা ড্রাইভারও পারছেনা কোনভাবেই গড়িকে সেই ভাঙা থেকে তুলতে। শেষে সেনাবাহিনির দু’জন এসে হাত লাগালো। অনেক কষ্টে সব সামলে গাড়ি সেখান থেকে ফিরে এলো অক্ষত অবস্থায়।
বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি নিয়ে ঘুরতে গিয়ে এমন আরো বিপজ্জনক অবস্থায় পড়েছি। সেসব গল্প আরেকদিন বলবো। রাত কাটানোর জন্যে আমরা ফিরে এলাম পর্যটন হোটেলে। মোটামুটি খালিই ছিল হোটেলটি। রাতে সিদ্ধান্ত হলো আমরা পরদিনের ঘোরাঘুরি বাদ দিয়ে ঢাকায় ফিরে আসবো।
ভ্রমণ থেকে একটা ব্যাপার নিয়মিত উপলব্ধি করি তা হলো ধৈর্য। ভ্রমণ থেকে বেশ ধৈর্য শিক্ষা হয়। নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখার গুনটাও বেশ ভালোভাবে আয়ত্ত্ব করা যায়।
এতো কঠোর পরিশ্রমের পর রাতে ঘুমুতে কারোই কোন সমস্যা হয়নি...রীতিমতো নাক ডাকা ঘুম যাকে বলে।
পরদিন সূর্য উঠার আগে হোটেল ত্যাগ করলাম। ফিরে আসার পথে খাগড়াছড়ি যেনো তার করুণ রাগিণীতে সৌন্দর্য বিলোতে ব্যস্ত ছিল ।
শেষ কথা:
ভবিষ্যতে খাগড়াছড়ির যোগযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে আশা করতে করতে ফিরে এলাম কাঙিক্ষত সময়ের বেশ আগেই। কিন্তু মনে যেনো সবুজের সৌন্দর্য বারবার হাতছানি দিয়ে ডাকছিল।
ভালো থাকুক খাগড়াছড়ি, ভালো থাকুক সেখানকার মানুষ।
২৮ মার্চ - ২০১৬
গল্প/কবিতা:
২২ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪